আইভিএফ বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন প্রক্রিয়ায় মানব দেহের বাইরে একটি টেস্ট টিউবে স্পার্ম ও ওভামের নিষেক ঘটিয়ে ভ্রূণ তৈরি করা হয়। গত তিরিশ বছর ধরে এই প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে। আইভিএফ-এর সাফল্য বাড়ানোর উপায়—
আইভিএফ-এর সাফল্যের হার হবু মায়ের বয়স আর ওজনের সঙ্গে সম্পর্কিত। মহিলাদের বয়স যত কম হবে, আইভিএফ সফল হওয়ার সম্ভাবনাও তত বাড়বে। সেইসঙ্গে আইভিএফ পদ্ধতির সাফল্য নির্ভর করে বডি মাস ইনডেক্সের উপরও। কমবয়সি ও স্লিম মহিলাদের ক্ষেত্রে আইভিএফ প্রক্রিয়া সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ইউরিনারি ইঞ্জেকশন সাধারণত রিকমবিন্যান্ট ইঞ্জেকশনের তুলনায় কম মূল্যের হয়। তবুও রিকমবিন্যান্ট ইঞ্জেকশন আইভিএফ-এর সাফল্যের হার বাড়াতে সাহায্য করে।
আইভিএফ-এর এই ধরনটি স্বাভাবিক পিরিয়ডের মধ্যে হয়। আর এই পদ্ধতিতে স্টিমুলেশনের ক্ষেত্রে হালকা প্রতিক্রিয়া পেতে গেলে কম ফার্টিলিটি ড্রাগের প্রয়োজন হয়। একে মিনি আইভিএফও বলা হয়। এই পদ্ধতিটি উচ্চমাত্রায় সাফল্যের হার সম্পন্ন।
এই পদ্ধতিটি সাধারণ এমব্রায়ো প্রতিস্থাপনের মতোই। উচ্চমানের একটি বা দু’টি ব্লাস্টোসিস্ট বেছে নিয়ে জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। গর্ভধারণের জন্য জরায়ুর দেওয়ালে ব্লাস্টোসিস্টের সংযুক্তিকরণ একান্তভাবে জরুরি।
অ্যাসিস্টেড হ্যাচিংয়ের মাধ্যমে ভ্রূণটিকে তার শক্ত খোলসের মধ্যে থেকে বিবর্ধিত হতে সাহায্য করা হয়, যাতে এটিকে ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের পর ইউটেরাইন প্রাচীরে স্থাপন করা যায়। আর লেসার অ্যাসিস্টেড হ্যাচিংয়ের ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার লেসার রশ্মি ব্যবহৃত হয়। এতে আইভিএফএর সাফল্য বেড়ে যায়।
আইভিএফ বা আইসিএসআই-এর মাধ্যমে কনসিভ করা ভ্রূণের ক্রোমোজোম পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতি আইভিএফ-এর সাফল্য বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করে।
এটি একটি ইনকিউবেটর যা আইভিএফ ল্যাবরেটরিতে ভ্রূণের ক্রমবিকাশ পর্যালোচনা করতে সক্ষম।
এন্ডোমেট্রিয়াল লাইনিংয়ে ভ্রূণ রোপণ এবং স্থাপনের সময় এন্ডোমেট্রিয়াল রিসেপটিভিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আইভিএফ প্রক্রিয়া বারবার ব্যর্থহলে ইআরএ-এর প্রয়োজন হয়।
ডাঃ ঐন্দ্রী সান্যাল
আইভিএফ স্পেশালিস্ট
নোভা আই ভি এফ ফার্টিলিটি, কলকাতা